,

মাধবপুরের হাট-বাজারগুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন :; যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে পলিথিন :: নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর : মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। একটি চক্র র্দীর্ঘদিন যাবত এই পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করে যাচ্ছে। হাট-বাজারগুলোতে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ অবাধে বিক্রি করা হলেও এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান নেই বললেই চলে। মাধবপুর পৌর শহর, মনতলা, চৌমুহনী, ধর্মঘর, ছাতিয়াইন, তেলিয়াপাড়া, নোয়াপাড়া, শাহপুর, হরষপুর, শাহজীবাজার এলাকা সহ ছোট বড় বাজার গুলোতে এই পলিথিন বিক্রি হচ্ছে।
সহজে পাওয়ায় খুচরা দোকানদাররাও কাষ্টমারের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। মাধবপুর সদরসহ কয়েকটি বাজারের বড় বড় দোকান গুলোতে বিক্রি হচ্ছে পলিথিনের রোল। সাধারন লোকজন এই পলিথিন ব্যবহার করে যত্রতত্র ফেলে দেওয়ায় পরিবেশ মারাত্বক ভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। অপরদিকে নদী খাল বিলে পলিথিন ব্যাগ ফেলার কারনে নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা। এই পলিথিন ব্যাগ সহজে পাওয়ায় লোকজন এখন পাটের তৈরী ব্যাগ কিনতে আগ্রহ হারাচ্ছে।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে বাংলাদেশে ২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষন আইন এর প্রেক্ষিতে পলিথিনের ব্যাগ উৎপাদন, ব্যবহার, বিপনন এবং পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়। তবু পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের কোন উদ্যোগ নেই। পলিথিনের দুষন নিয়ে সারা বিশে^ শোরগোল। গবেষকরা বলছেন বর্তমানে পলিথিন দূষনের মাত্রা বজায় থাকলে ২০৫০ নাাগদ সাগরে মাছের চাইতে পলিথিনের খন্ডিত অংশের সংখ্যা বেশী হবে। বিষয়টি কতটা উদ্বোগের তা হয়ত আমরা অনেকেই ঠাওর করতে পারছি না। শহর কিংবা গ্রাম প্রতিটি অঞ্চলের ক্ষেত্রেই জলাবদ্ধতা একটি মারাত্বক সমস্যা। শহর, গ্রামের পয়নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয় ড্রেন। কিন্তু ইদানিংকালে এই ড্রেন ময়লায় বদ্ধ হয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। ময়লার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতল।
প্রভাষক আব্বাস উদ্দিন মিজান জানান, আমরা এখনো পরিবেশ দুষনের পক্ষে না। পলিথিন মাটির নিচে গিয়েও পচে না। এটির দিন দিন ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করলেও স্থানীয় প্রশাসন এটির বেচা কিনা বন্ধ করা জরুরী। আর উপজেলা প্রশাসন পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়ে সচেতনতা মূলক সেমিনার করতে পাড়েন। তাতে অনেকেই পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক গুলো জানতে পাড়বে।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইশতিয়াক আল মামুন জানান, আমরা বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য পলিথিন ব্যবহার করে আনায়ন করি, নিম্নামানের এসব পলিথিন খাদ্যে এক ধরনের বিষক্রিয়া করে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। পলিথিন মোড়ানো গরম খাবার খেলে মানুষের ক্যান্সার ও চর্মরোগের সংক্রমন হতে পারে। পলিথিন মাছ ও মাংস প্যাকিং করলে তাতে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া উজ্জল রংয়ের পলিথিনে রয়েছে সিসা ও ক্যাডমিয়াম, যার সংস্পর্শে চর্মরোগ তৈরী হয়।
মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ মনজুর আহসান জানান, এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর